Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

বিডি চ্যাটের টুনি: BD Chater Tuni
বিডি চ্যাটের টুনি: BD Chater Tuni
বিডি চ্যাটের টুনি: BD Chater Tuni
Ebook121 pages49 minutes

বিডি চ্যাটের টুনি: BD Chater Tuni

Rating: 0 out of 5 stars

()

Read preview

About this ebook

লেখক পরিচিতি

তামান্না চৌধুরী, ডাক নাম নীলা। জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ঢাকায় তবে সিলেটে দাদার বাড়ি। জন্ম ১৯৭১ সালে। ঢাকার অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়, আজিমপুর থেকে এস.এস.সি এবং বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেছেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পূর্ণ করেছেন। ২০০৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ম্যাপল লীফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ধানমন্ডিতে টিচার হিসাবে কর্মরত আছেন। স্কুল জীবন থেকেই আমি লেখালেখির সাথে জড়িত। তার লেখা বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সাপ্তাহিক সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ বেতারে সাহিত্য প্রসংগ অনুষ্ঠানে নিজের লেখা উপস্থাপিত হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইন পেইজেও লিখে থাকেন।

যদিও উপন্যাস লেখার কোন অভিজ্ঞতা নেই তবে তিনি জানিয়েছেন লিখতে লিখতে অনেক বড় হয়ে ওঠা গল্পটা আসলে উপন্যাসের মাত্রায় পৌছে গেছে। নিজের ভেতরে জমা কথাগুলো লিখে আনন্দিত বোধ করেন তামান্না, তিনি আশাবাদী তার লেখা এই উপন্যাস পাঠকেরও ভালো লাগবে।

LanguageBengali
Release dateJul 29, 2021
ISBN9781393124566
বিডি চ্যাটের টুনি: BD Chater Tuni

Related categories

Reviews for বিডি চ্যাটের টুনি

Rating: 0 out of 5 stars
0 ratings

0 ratings0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    বিডি চ্যাটের টুনি - তামান্না চৌধুরি নীলা

    তামান্না চৌধুরি নীলার রোমান্টিক উপন্যাস

    ইবুক প্রকাশনা

    ইবাংলা প্রকাশনী

    জুলাই ২০২১

    সত্ত্বাধিকারীঃ তামান্না চৌধুরি নীলা

    লেখক পরিচিতি

    তামান্না চৌধুরী, ডাক নাম নীলা। জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ঢাকায় তবে সিলেটে দাদার বাড়ি। জন্ম ১৯৭১ সালে। ঢাকার অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়, আজিমপুর থেকে এস.এস.সি এবং বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেছেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পূর্ণ করেছেন। ২০০৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ম্যাপল লীফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ধানমন্ডিতে টিচার হিসাবে কর্মরত আছেন। স্কুল জীবন থেকেই আমি লেখালেখির সাথে জড়িত। তার লেখা বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সাপ্তাহিক সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ বেতারে সাহিত্য প্রসংগ অনুষ্ঠানে নিজের লেখা উপস্থাপিত হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইন পেইজেও লিখে থাকেন।

    যদিও উপন্যাস লেখার কোন অভিজ্ঞতা নেই তবে তিনি জানিয়েছেন লিখতে লিখতে অনেক বড় হয়ে ওঠা গল্পটা আসলে উপন্যাসের মাত্রায় পৌছে গেছে। নিজের ভেতরে জমা কথাগুলো লিখে আনন্দিত বোধ করেন তামান্না, তিনি আশাবাদী তার লেখা এই উপন্যাস পাঠকেরও ভালো লাগবে।

    ছটফটে মেয়ে টুনি

    (১)

    সামার ভ্যাকেশনে ইদানিং  ইন্টারনেটের চ্যাট রুমে মাঝে মাঝেই ঢুঁ মারে টুনি। তবে ছটফটে মেয়েটা বেশিক্ষণ থাকে না।চ্যাটরুমের মেইন স্ক্রিনে তার সরব আনাগোনা।পার্সোনাল ভাবে একান্ত কারো সাথে চ্যাট করা তার দারুণ  অপছন্দ।দম না-কি আটকে আসে!চ্যাট রুমের মেইন স্ক্রিনে নাম পরিবর্তন  করে সে অবিরত। যেমন - সকালে সকাল বেলার মেয়ে, দুপুরে  রোদেলা মেয়ে,বিকালে শেষ বিকালের মেয়ে,সন্ধ্যায় গোধূলি  মেয়ে,সন্ধ্যার পর জোনাকি মেয়ে" ইত্যাদি ইত্যাদি।

    একদিন টুনি নিজের আইডি লিখে পান্তা বুড়ি! নাতিদের সাড়া পড়ে গেলো চারদিকে।

    একজন প্রশ্ন করলো" আপনার বয়স  কত?টুনি লিখে-৮২।

    (২)

    আপনি কোথায়  থাকেন?একটু ভেবে টুনি চট করে লিখে--গাজীপুর, ওল্ড হোমে

    তারপর বিশ্বাস্যযোগ্যতা আনার জন্য সে  গাজীপুরে অবস্থিত একটা ওল্ড হোমের ঠিকানা হুবহু পেষ্ট  করে দেয়! সাথে কেয়ারটেকারের ফোন নাম্বারটাও।প্রায় ৬০% মানুষ প্রশ্ন ছুড়ে দেয়" এত বয়সে আপনি অনলাইনে কি করেন?

    টুনিকে প্রায় বিডি চ্যাটের প্রায় ৬০% মানুষ প্রশ্ন ছুড়ে দেয়" এত বয়সে আপনি অনলাইনে কি করেন?

    টুনি উত্তর  দেয়--আমার ছেলেমেয়েরা সব দেশের বাইরে বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে  আছে।আমি অনলাইনে ওদের খোঁজ খবর  নেই

    কম্পিউটারে।

    আবার প্রশ্ন আসে"ছেলেমেয়েদের  সাথে  থাকেন না কেন?

    টুনি উত্তর  দেয়--ওদের সবার সংসার আছে,ব্যক্তিগত একটা পারিবারিক  জীবন  আছে!আর আমি আমার এই দেশ বাংলাদেশেই মরতে চাই।আর ওল্ডহোমে অনেক বুড়া-বুড়ি আছি।ওদের সাথে বেশ আনন্দেই কেটে যাচ্ছে সময়!

    অবসরে কি করেন?

    --ধর্ম কর্ম করি... তসবি গুনি...নামাজ পড়ি।

    কি ধরনের খাবার খান?

    --স্যুপ, নরম জাউ ভাত, সব্জি।

    "মাছ, মাংস খান না?

    --চোখে কম দেখি তাই কাঁটা বাছতে পারি না।

    কিন্ত কম্পিউটার তো দ্রুত চালান?

    --হ্যাঁ, অনেক দিনের অভ্যাস তো তাই!

    (৩)

    অনলাইনে  একজন বলে "আমার মায়ের সাথে আপনি থাকবেন?আমার মায়ের আপনার  মতোনই।

    টুনি লিখে- আমি কারো বোঝা হতে চাই না।

    ছিঃ ছিঃ আপনি বোঝা হবেন কেন? আমি আপনাকে মাথায় তুলে রাখবো।

    --বাবা তুমি সুখী হও! আল্লাহ তোমার নেক হায়াত দারাজ করুন।তোমার মায়ের যত্ন নিও।

    সকালে কি নাস্তা খেয়েছেন?

    টুনি লিখে--হালুয়া

    পরশু দিন শবে বরাত।আমি আপনার জন্য হালুয়া বানিয়ে আনতে চাই।আপনি খাবেন?

    টুনি চট করে লিখে--না-বাবা-না-ধন্যবাদ।

    "আমি অনেক রকম হালুয়া বানাতে পারি। গাজর, পেপে, বাদাম, নিশিন্তা...চাটনিও আনা যায় আপনার রুচি বাড়ানোর জন্য।আমি সিংগাপুর থেকে ট্যুরিজম কোর্স করেছি, কুকের উপরে। আমি নিজ হাতে আপনার জন্য খাবার বানিয়ে আনবো।টুনি কি লিখবে? টুনি না-না-না লিখে কিন্তু নাতি নাছোড়বান্দা!

    (৪)

    দুইদিন টুনি অনলাইনে৷ বসার সুযোগ করতে পারে নি। হঠাৎ বিকালে অনলাইনে বসে। সেই নাতি হঠাৎ তাকে নক করে! আপনার ওখানে আমি গিয়েছিলাম। ওদিকে কখনো যাই নি তো তাই আমাকে অনেকটা পথ ঘুরতে হয়েছে!কিন্তু আপনাকে পাই নি!আপনার নাম বললাম!আপনার নাম বললাম, উত্তরে বললো আমি আজকে নেই! আপনার ভিজিটর আপনাকে বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গেছে!তারপর অনেক ক্ষণই বসলাম। আপনার নাম তো মমতাজ খান?

    টুনি লিখে-ইয়েস! আমি সেদিন ঢাকায় এসেছিলাম এক নাতির বাসায়!

    "কিন্তু আমার খুব ইচ্ছা ছিলো আপ নাকে দেখার, আপনার একটু দোয়া নেবার! আপনাকে কি একটু দেখা যাবে?

    টুনি জীভে কামড় দেয়। তারপর লিখ- এখানে তো ক্যামেরা নাই, মাইকও নাই। এটা ওল্ড হোমের অফিসের ডেক্সটপ! তারপর সে এই নাছোরবান্দা নাতিকে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে ডিলিট  করে দেয়।

    (৫)

    ইদানিং  খুব ভোরে ঘুম ভাংগে টুনির।কি করবে? ভাবতে ভাবতে সকাল বেলার মেয়ে

    আইডি নিয়ে চ্যাট রুমে ঢুকে।

    চ্যাট রুমের একজন আবার

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1